হরেক রকম ভর্তা




টমেটো পোড়া ভর্তা

টমেটো পুড়িয়ে নিয়ে ঠান্ডা হলে ছাল ছাড়িয়ে মেখে নিন। এই মাখার সঙ্গে সরু করে লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, লবণ ও যথেষ্ট চিনি মাখুন তারপর পরিবেশন করুন।

টাকি মাছ ভর্তা

উপকরণ

  • টাকি মাছ ২৫০ গ্রাম, 
  • পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, 
  • রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, 
  • কাঁচামরিচ ৪-৫ টি, 
  • ধনে পাতা ১ মুঠো, 
  • লেবুর খোসা কোরানো সামান্য, 
  • সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, 
  • লবণ স্বাদ মতো ।

প্রণালি
মাছ হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন। এবার কড়াইতে তেল, পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভাজুন। নরম হলে ধনে পাতা কুচি ও লেবুর খোসা দিয়েই নামিয়ে নিন। এবার মাছের সঙ্গে খুব ভালো করে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।

উপকরণ

  • সরিষা আধা কাপ,
  • রসুন ২ কোয়া,
  • শুকনো মরিচ ২টি,
  • লবণ স্বাদ মতো
  • ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
নতুন সরিষা ধুয়ে বেটে নিন। রসুন শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে নিন। এবার সরিষার সঙ্গে ধনেপাতা, রসুন, শুকনা মরিচ, লবণ দিয়ে আরও একবার বেটে নিন । ঠান্ডা-সর্দিতে এই ভর্তা ওষুধের মতো কাজ করে।

মিষ্টি কুমড়ো ভর্তা

উপকরণ
  • ১ ফালি কাঁচা কুমড়ো ছিলকা ফেলে ধুয়ে নিন। 
  • কুমড়ো ২ টুকরো করে ভাতের মধ্যে সিদ্ধ দিন। সিদ্ধ হলে কুমড়ো তুলে নিন। 
  • ২টি পেঁয়াজ, 
  • ২টি কাঁচামরিচ বেটে নিন। 
  • কুমড়ো টিপে, কাঁচা পেঁয়াজ, মরিচ ও ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে মাখুন। 
  • গরম গরম ভাতে খেতে দিন।

কচুমুখি ভর্তা

উপকরণ

আট দশটি কচুর মুখি ভালোভাবে ধুয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। ভালো সিদ্ধ হলে তুলে নিন এবং খোসা ছাড়িয়ে নিন। আন্দাজ মতো লবণ, ২টি কাঁচামরিচ, ২টি পেঁয়াজ কেটে ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে টিপে মরিচ মাখুন। এ ভর্তা ভাত দিয়ে খেতে মজা ।


উপকরণ

এক খণ্ড পানি কচু ছিলকে ফেলে চাক চাক করে কেটে নিন। কচু ধুয়ে পানি ছাড়িয়ে রাখুন। পাটায় কচু ছেঁচে মিহি করে বেটে নিন। কড়াইয়ে অল্প করে তেল দিন। তেল গরম হলে ২টি পেঁয়াজ, ৩টি কাঁচামরিচ কেটে দিন। একটু নেড়ে ২ চামচ লবণ দিন এবং বাটা কচু কড়াইয়ে দিয়ে খানিকটা সময় নাড়তে থাকুন । একটু পর নামিয়ে নিন। ভাতের সাথে খেতে দিন।

মাঝারি আকারের আলু ৪টি, মেথি শাক ১ আঁটি, কাঁচামরিচ ৩টি, টমেটো ২টি (মাঝারি), আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরা (আস্ত) ফোড়নের জন্য, লবণ, চিনি, তেল আন্দাজ মতো।

প্রণালি

মেথি শাক পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পাতা ও কচি ডগাগুলো খুব কুচি করে কাটুন। আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করুন। বড় চামচের চার চামচ তেল কড়াইতে গরম করে জিরা ফোড়ন দিয়ে আলু ছাড়ুন। ভাজা হলে রসুন আদা বাটা ও এক চা চামচ চিনি দিন। কিছুক্ষণ পরে টমেটো কুচিয়ে কড়াইতে দিন। অনবরত নাড়তে থাকুন। মিনিট পাঁচেক ভাজা হলে লবণ, আন্দাজ মতো ধনে গুঁড়া ও শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে নাড়াচাড়া করে মেথি শাক দিন। মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচা করলার ভর্তা

উপকরণ

করলা ১টি (খুব পাতলা করে কাটা), পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১টি, সরিষার তেল ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি

করলার বিচি ফেলে ১০ মিনিট লবণ মেখে রাখুন। তারপর করলা পানি দিয়ে ধুয়ে চিপে নিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, তেল ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

হেলেঞ্চা শাক ভর্তা

হেলেঞ্চা শাকের নরম মাথা তুলে নিন। ধুয়ে পরিষ্কার নেকড়ায় শক্ত করে বেঁধে পাত্রে পানি দিয়ে সিদ্ধ করুন। ২-৩ বার নেকড়ার আঁটি নেড়ে উল্টে দিন। সিদ্ধ হলে আঁটি থেকে শাক তুলে নিন। ২টি পেঁয়াজ, ১টি কাঁচা মরিচ কেটে নিন । ২ চামচ লবণ ও ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে, পেঁয়াজ মরিচ কুচি দিয়ে শাক মেখে নিন। গরম গরম ভাতে এ ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে ।

ঢেঁড়স ভর্তা গরম ভাতে এ ভর্তা খেতে মজা

দশ-বারোটি ঢেঁড়স বোঁটা ফেলে ধুয়ে নিন। পাত্রে আড়াইশো মিলিলিটার পানিতে ঢেকে অল্প আঁচে সিদ্ধ করুন। ভালো সেদ্ধ হলে পাত্র নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে ঢেঁড়স অন্য পাত্রে তুলে নিন। ২টি কাঁচামরিচ কুচিয়ে নিন। ২টি পেঁয়াজ কেটে নিন। ঢেড়স ভালো করে ছেনে ২ চামচ লবণ, ২ চামচ সরিষার তেল ও মরিচ কুচি দিয়ে মাখুন । গরম ভাতে এ ভর্তা খেতে মজা।

কাঁকরোল ভর্তা

উপকরণ

কাঁকরোল ৪টি, ছোট চিংড়ি মাছ (খোসা ছাড়ানো) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫/৬টি, পুদিনা পাতা কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি

কাঁকরোল ধুয়ে অল্প পানিতে সিদ্ধ করে চটকে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে চিংড়ি মাছ, রসুন কুচি এবং কাঁচামরিচ ভেজে চটকে নিন। একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, সর্ষের তেল, পুদিনা পাতা, লবণ ও তেল ভালো করে মেখে চটকানো কাঁকরোল ও চিংড়ি মাছের মিশ্রণ সব মিলিয়ে নিন একসাথে। এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

কালোজিরা ভর্তা

কালোজিরা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে কৌটায় ভরে রাখবেন। পরিমাণ মতো তেল ও লবণ কড়াইতে দিন। ৩টি রসুন, ২টি পেঁয়াজ, ২টি শুকনোমরিচ লাল করে ভেজে ২৫ গ্রাম পরিমাণ কালোজিরা দিয়ে নাড়তে থাকুন, সুন্দর ভাজা গন্ধ বেরুলে কড়াই নামিয়ে নিন। পাটায় মিহি করে বাটুন। ভর্তা গরম ভাতে পরিবেশন করুন। এ ভর্তা শরীর ব্যথা হলে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

কাঁচা আমের ভর্তা

উপকরণ

কাঁচা আম ২ টি, রসুন ২ কোয়া, পুদিনা পাতা ১০টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ ।

প্রণালি

কাঁচা আম বেটে নিন। রসুন, পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা এক সঙ্গে বেটে নিন। আম বাটা ও রসুনের মিশ্রণ এক সঙ্গে মিশিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

পুঁটি মাছের শুঁটকি ভর্তা

পুঁটি শুঁটকি ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে ২-৩টি মরিচ, রসুন ও পেঁয়াজ দিন । অল্প লবণ। পরে পুটি মাছ দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাছ লাল হলে নামিয়ে পাটায় বাটুন। মিহি করে বাটা হলে বাটিতে তুলে নিন। ভাত দিয়ে ভর্তা খেতে মজা।

ছোট চিংড়ি ভর্তা

চিংড়ি মাছ কড়াইতে দিয়ে লাল করে ভেজে নিন। চিংড়ি নামিয়ে রাখুন। পরে কড়াইতে তেল দিন। ২-৩টি শুকনো মরিচ ভালো করে ভেজে নিন। রসুন ও পেঁয়াজ অল্প লবণ দিয়ে ভেজে নিন। পরে পাটায় ভালো করে বেটে বাটিতে তুলে নিন। গরম ভাতে পরিবেশন করুন।

কাঁঠাল বিচির ভর্তা

উপকরণ

কাঁঠাল বিচি ২০০ গ্রাম, চিংড়ি শুঁটকি ৫০ গ্রাম, রসুন কোয়া ৫-৬টি, কাঁচামরিচ ২-৩টি, পেঁয়াজ কাটা আধা কাপ, শুকনো মরিচ ২-৩টি, সরিষার তেল ১ চা চামচ।


প্রণালি

কাঁঠাল বিচি সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে কাঁঠাল বিচিসহ সব উপকরণ এক সঙ্গে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে খুব মসৃণ করে বেটে পরিবেশন করুন।

বাহারি বেগুন ভর্তা

উপকরণ

বেগুন ১টি (বড় সাইজ), সরিষা বাটা ১ চা চামচ, পোস্তদানা ১চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি

বেগুনের গায়ে তেল মেখে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে একটু ছেনে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু নরম হলে টমেটো দিয়ে নাড়াচাড়া করে টমেটো নরম হলে সরিষা, পোস্তদানা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিয়ে কষান। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিন। চিতই পিঠার সঙ্গে এই ভর্তা খাওয়া যায়।

চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা

উপকরণ

চ্যাপা শুঁটকি ৪-৫টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, আদা কুচি আধা চা চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ, লবণ স্বাদ মতো, শুকনা মরিচ ৬-৭টি।

প্রণালি

চ্যাপা শুঁটকি তাওয়ায় টেলে নিয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন। এবার কড়াইতে তেল, আদা, রসুন দিয়ে একটু পরে পেঁয়াজ দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ নরম হলে নামিয়ে মাছের সঙ্গে খুব ভালো করে মিলিয়ে নিন। আবার কড়াইতে থাকা অবস্থায় মাছ দিয়ে কষিয়ে ওপরে তেল উঠলে নামিয়ে নিন। দু ভাবেই চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা করা যায়। শুকনো মরিচ তেলে ভেজে উঠিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে হাতে মেখে নিয়ে মাছের সঙ্গে মেলাতে হবে।

সংগ্রহ ও সম্পাদনায় : লুবনা জাহান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসা বিডি ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭