পাখিদের অনুভূতি
পাখিদের অনুভূতি
প্রায় সব পাখিরই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শক্তি আছে এবং বেশির ভাগ পাখিই খাদ্য খোঁজার জন্য এদের চোখের উপরই নির্ভরশীল।
পাখির কানের বাইরের অংশ একটি ছোট টিউব দিয়ে গঠিত যা বাইরের দিক থেকে কানের পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত। বেশিরভাগ পাখির কানের ছিদ্র ঠিক চোয়ালের পিছনে থাকে ।
লক্ষ্মী পেঁচা ইংরেজিতে barn owl বলে, তাদের শ্রবণশক্তি এতোই প্রখর যে সম্পূর্ণ অন্ধকারে চোখের ব্যবহার না করেও তারা শিকারের সন্ধান করে এবং শিকার ধরতেও পারে।
একটি মুরগির মাত্র ২৪টি taste buds আছে এবং starling আছে প্রায় ২০০টি আর মানুষের আছে ৯০০০টি।
হরবোলা পাখির চোখের ওজন তার সম্পূর্ণ মাথার ওজনের ১৫ শতাংশেরও বেশি। একজন মানুষের চোখের ওজন তার মাথার ওজনের মাত্র এক শতাংশ।
• Oilbirds গুহায় বাস করে এবং প্রতিধ্বনির মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্ধকারের মধ্যে নিজেদের পথ খুঁজে নেয়। তারা টিকটিক শব্দ করে এবং প্রতিধ্বনি শোনে যা দেয়াল বা অন্য বস্তুর গা ছুঁয়ে ফিরে আসে। যা তাদের জানিয়ে দেয় বস্তুগুলোর অবস্থানের দূরত্ব।
বিশেষ পর্দা
■ পেঁচার চোখ দুটো সামনের দিকে ফিরানো যা দূরত্ব যাচাইয়ে সহায়তা করে। একটি পরিষ্কার প্রতিচ্ছবি তৈরির জন্য চোখের পিছনে অবস্থিত রেটিনার উপর মনি বড় হওয়ার কারণে আলো এসে পড়ে। চোখের পাতা ছাড়াও পেঁচার চোখের উপর একটা বিশেষ পর্দা আছে যার ফলে তাদের চোখ পরিষ্কার ও সুরক্ষিত থাকে।
একটি উটপাখির চোখের ব্যাস ৫ সেন্টিমিটার। মাটিতে থাকা যে কোনো পাখির চোখ থেকে বড় ।
পাখিরা গলার স্বর পরিবর্তন এবং শব্দের তীক্ষ্ণতার ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে দশগুণ বেশি সংবেদনশীল।
পাখির নাকের ছিদ্রগুলো সাধারণত ঠোঁটের নিচের দিকে থাকে। কিন্তু kiwi এর ক্ষেত্রে এগুলো ঠোঁটের অগ্রভাগে থাকে যাদের বেশিরভাগ পাখির চেয়ে ঘ্রাণেন্দ্রিয় প্রখর ।
Albatross দের ঘ্রাণেন্দ্রিয় ভালো। পরীক্ষানুযায়ী তারা ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে খাদ্যের প্রতি আকর্ষিত হয়।
→ কাদাখোঁচা পাখির ঠোঁটের অগ্রভাগ নমনীয় এবং খুব সংবেদনশীল যা এদের পোকা এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রাণীদের খুঁজতে এবং চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
এসা বিডি ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url