ব্যবসায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বঃ


জীবনের সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিজীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির প্রয়োগ ব্যবসা-বাণিজ্য আমল পরিবর্তনের সূচনা করেছে। যেকোনো ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য থাকে কোন সময়ে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা এবং দ্রুততম সময়ে তা ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া। 

পণ্যের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ব্যবস্থাপনা, তাদের দক্ষতার মান উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন এবং সবশেষে পণ্য বা সেবার বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।


সাধারণভাবে আইসিটি প্রয়োগের ফলে ব্যবসা নানাবিধ সুবিধা অর্জিত হয়। এছাড়া আইসিটি খরচ কমাতে সাহায্য করে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কোন সময়ে অধিক কাজ করা যায়। ফলে ব্যবসার খরচ হ্রাস পায়। এতে ব্যবসায়ী একদিকে কম খরচে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারে, অন্যদিকে মুনাফা বাড়াতে পারে। খরচ কমানোর অনেকগুলো উপায় রয়েছে।

মজুদ নিয়ন্ত্রণঃ ব্যবসার একটি বড় খরচ হলো অন্যের মজুর। বাজার চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুদ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বিশেষায়িত সফটওয়্যার কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মজুদের হালনাগার তথ্য জানা যায়। ফলে সেই অনুযায়ী উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যায়।

উৎপাদন ব্যবস্থাপনাঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উৎপাদন ব্যবস্থা প্রভূত উন্নতি করা সম্ভব। আইসিটি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে কোন সময় অধিক উৎপাদন করা যায়। তখন উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। তাছাড়া কর্মী ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ উৎপাদনে গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট সহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধান প্রধান উপকরণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত কার্যকরী করে তুলেছে।

সঠিক হিসাব রাখা 

সঠিক হিসাব রাখাঃ ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সাধারণ স্প্রেডশিট ব্যবহার করেই তাদের ব্যবসার হিসাব সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে পণ্যের মজুদ, এমনকি গ্রাহকদের তথ্যাবলীও সংরক্ষণ করা যায়। ভবিষ্যতে ব্যবসার উন্নতিতে ব্যবহার করা যায়।

  • বিপণনঃ ব্যবসা করতে হলে পণ্য বা সেবার বিপণন ও প্রচারে আইসিটি প্রয়োগের ফলে নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব হয়েছে। 
  • বাজার বিশ্লেষণঃ 
  •     প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহঃ 
        সরবরাহঃ 
        প্রচারঃ

    বিক্রয় ব্যবস্থাপনা ও হিসাবঃ ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল (EPOS) হল এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিক্রয়ের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। এতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর সুযোগ থাকে।

  • মূল্য সংগ্রহঃ আইসিটি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ তাদের পণ্যের মূল্য সরাসরি নিজের ব্যাংক হিসেবে সংগ্রহ করতে পারে। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিক্রেতা তার পণ্য বা সেবার মূল্য ক্রেতার হিসাব থেকে সরাসরি নিজের হিসাবে স্থানান্তর করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Kawser
    Kawser September 8, 2021 at 12:23 AM

    সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্ট।

    • এম এম আলম ☑️
      এম এম আলম ☑️ January 8, 2024 at 4:41 AM

      থ্যাঙ্ক ইউ স্যার বাট, ব্রোকেন লিংক এবং scam ধরা পড়ে যখন সাইড চেক করিঠিক ভালো বুঝতে পারছি না কেন ?

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এসা বিডি ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৭