আল কুরআন কিভাবে চিনবো / জানবো ?
কুরআন এর মূলনীতির আলোকে ইসলামের সকল বিধি-বিধান প্রণীত হয়েছে। কুরআন ও হাদিসের নীতিমালার বাইরে কোন কিছু ইসলামের গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হলে কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
1. আল কুরআন কেন পড়বো? (কাসাস- ২৮ : ৮৫)
অর্থঃ- নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহ, যিনি তোমার উপর একমাত্র আল-কুরআনকে ফরজ/আবশ্যক করে দিয়েছেন, অবশ্যই তিনি তোমাকে প্রত্যাবর্তনের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। বলো, আমার রব- সর্বমহাব্যাবস্থাপক একমাত্র সবচেয়ে ভাল জানেন কে হিদায়াত-সত্যপথ নিয়ে এসেছে এবং কে প্রকাশ্য/ সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে ।
2. আল কুরআন কি জন্য পড়বো? (ঝুখরুফ - ৪৩ : 88)
وَإِنَّهُ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ وَسَوْفَ تُسْأَلُونَ
অর্থঃ- নিশ্চয়ই উহা তথা আল-কুরআন তোমার এবং তোমার জাতির জন্য এক চুড়ান্ত মহাসংবিধান / মহাস্মরণিকা, আর অচিরেই এ ব্যাপারে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।
3. আল কুরআন কার কিতাব? (কাহাফ - ১৮ : 27)
অর্থঃ- আর তুমি বুঝে বুঝে পাঠ কর তোমার রবের কিতাব থেকে যা প্রত্যাদেশ করা হয়েছে তোমার প্রতি, তাঁর বিধানসমূহের/বাণীসমূহের জন্য কোনো পরিবর্তনকারী নেই, এবং তুমি কখনও পাবেনা তিনি- আল্লাহ্ ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থান।
4. আল কুরআন কিভাবে পাঠ করবো? (বাক্বারাহ্- ০২ : ১২১)
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَن يَكْفُرْ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
অর্থঃ- যাদেরকে আমি বিধানে পূর্ণ কিতাবটি প্রদান করেছি, তারা উহাকে সত্যিকারভাবে বুঝে বুঝে পাঠ করে/করবে, উহারাই দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে তার প্রতি, আর যারা উহাকে অস্বীকার করে/করবে তারাই কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ।
5. আল কুরআন কিভাবে চিনবো/জানবো? (আনয়াম- ০৬ : 20)
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءَهُمُ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنفُسَهُمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ- যাদেরকে আমি বিধানে পূর্ণ কিতাবটি প্রদান করেছি, তারা তাকে চিনে-চিনবে যেমনি ভাবে তারা তাদের ছেলে-সন্তানদেরকে চিনে-চিনবে। যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে সুতরাং তারা ঈমান আনে না- আনবে না ।
6. আল কুরআন না পড়লে কি হবে? (মুহাম্মাদ- ৪৭ : ২৪)
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبِ أَقْفَالُهَا
অর্থঃ- তবে কি তারা একমাত্র কুরআনকে মনোযোগের সাথে গভীর গবেষণা করছে না-করবে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহের উপর অসংখ্য তালা দ্বারা উহাকে তালাবদ্ধ করা হয়েছে?
7. আল কুরআনে কি আছে? (আম্বিয়া- ২১ : ১০)
لَقَدْ أَنزَلْنَا إِلَيْكُمْ كِتَابًا فِيهِ ذِكْرُكُمْ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
অর্থঃ- নিশ্চয়ই আমিই অবতীর্ণ করেছি তোমাদের প্রতি বিধানপূর্ণ এক বিশেষ কিতাব-মহাসংবিধান তথা আল কুরআন, উহার মধ্যে রয়েছে তোমাদের যাবতীয় বিধি-বিধান; তবুও কি তোমরা বুঝতেছ না-বুঝবে না?
8. আল কুরআন কে ব্যাখ্যা করেছেন? (আরাফ- ০৭:৫২)
وَلَقَدْ جِئْنَاهُم بِكِتَابٍ فَصَّلْنَاهُ عَلَى عِلْمٍ هُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ- আর আমি অবশ্যই তাদের কাছে বিধানপূর্ণ একমাত্র চুড়ান্ত মহাসংবিধান হিসেবে একটি কিতাব - কুরআন নিয়ে এসেছি, আমিই উহাকে তথা আল কুরআনকে আমার জ্ঞানের ভিত্তিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে দিয়েছি হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ, এমন এক জাতির জন্য যারা ঈমান আনে-আনবে।
9. আল-কুরআন কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন? (ফুরকান- ২৫ ঃ ৩৩)
ثاب علي وَلَا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا
অর্থঃ- আর তারা তোমার কাছে এমন কোন সমস্যা/বিষয় নিয়ে আসছে না/আসবে না, ইহা ব্যতীত যে, আমিই তোমার কাছে উহার একমাত্র সত্য বিধান ও সর্বোত্তম তাফসির/ব্যাখ্যা নিয়ে আসি ।
10. শুধু আল কুরআন মানলে হাদীস কিভাবে মানবো? (জাছিয়া- ৪৫ : ০৬)
تِلْكَ آيَاتُ اللهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَ اللهِ وَآيَاتِهِ يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ- এগুলো আল্লাহ্র আয়াতসমূহ / বিধানসমূহ যা আমিই তোমার উপর পাঠ করছি-করবো একমাত্র সত্য বিধান হিসেবে, অতএব, আল্লাহ্ ও তাঁর আয়াতগুলোর পরে তারা আর কোন্ হাদীসের প্রতি ঈমান আনবে?
ঈমানের ঘোষণাঃ
আল-কুরআনঃ (মু'মিনুন- ২৩ : ৯৭)
رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
উচ্চারণঃ রব্বী- আউ-'যুবিকা মিন্ হামাঝা-তিশ্ শাইয়া-ত্বী-ন।
অর্থঃ হে আমার রব! আমি শয়তানদের প্ররোচনা-উত্তেজনাসমূহ থেকে আপনার
নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি/করব,
আল-কুরআনঃ (মু'মিনুন- ২৩ : ৯৮)
وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
উচ্চারণঃ অ-আউ-'যুবিকা রব্বী- আইঁ-য়্যারূ-ন।
অর্থঃ হে আমার রব! আমার নিকট তারা যে উপস্থিত হয় এবং হবে তার থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি/করব।
আল-কুরআনঃ (নামল- ২৭:৩০, হাম্দ- ১ : ১)
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহী-ম।
بِسمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
অর্থঃ শুরু করছি আল্লাহ্র নামে যিনি সার্বিকভাবে দয়ালু বিশেষভাবে অনুগ্রহপরায়ণ ।
১) ঈমানের ঘোষণাঃ - (বাক্বারাহ্- ২ : ১৩৬)
قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا
أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَّبِّهِمْ
لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
উচ্চারণঃ কু-লূ- আ-মান্না- বিল্লা-হি ওয়ামা- উনঝিলা ইলাইনা ওয়ামা উঝিলা ইলা- ইব্রাহি-মা ওয়া ইসমা-ই-লা ওয়াইছহা-ক্বা ওয়াইয়া কূ-বা অলআছবা-তি, ওয়ামা- উ-তিয়া মু-সা ওয়া’ঈ-সা- ওয়ামা- উ-তিয়ান্নাবিয়্যু-না মির্রব্বিহিম লা- নুফাররিকু বাইনা আহাদিম্মিনহুম্ অনাহনু লাহু- মুসলিমূ-ন।
অর্থঃ ‘তোমরা বলো', আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং আরও ঈমান এনেছি উহার প্রতি যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ইব্রাহিম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাদের বংশধরদের প্রতি এবং যা দেয়া হয়েছে মুসা এবং ঈসাকে এবং যা দেয়া হয়েছে অন্যান্য নবীগনকে তাদের রবের পক্ষ থেকে। আর আমরা তাদের কারো মধ্যে কোন পার্থক্য করছিনা - করবো না। আর আমরা তিনি আল্লাহ্র জন্যই মুসলিম হলাম ।
সালামুন আ'লা মুহাম্মদ ঈমানের ঘোষণার জন্য যেভাবে আদিষ্ট হয়েছিলেন
২) সালামুন আ'লা মুহাম্মদ ঈমানের ঘোষণার জন্য যেভাবে আদিষ্ট হয়েছিলেন- (আল ইমরান- ৩ : ৮৪)
قُلْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَىوَالنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
উচ্চারণঃ কুল, আমান্না- বিল্লা-হি ওয়ামা- উনঝিলা আ'লাইনা- ওয়ামা- উনঝিলা আ'লা- ইবর-হীমা ওয়া ইসমাঈলা ওয়া ইসহা-ক্বা ওয়া ইয়া কুবা ওয়াল আছবা-তি ওয়ামা উতিয়া মু-সা ওয়া ঈ-সা- ওয়ান্নাবিয়্যূনা মির-রব্বিহিম, লা- নুফারিকু বাইনা আহাদিম্ মিনহুম, ওয়া নাহনু লাহু- মুসলিমূ-ন।
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং আরও ঈমান এনেছি উহার প্রতি যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ইব্রাহিম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাদের বংশধরদের প্রতি এবং যা দেয়া হয়েছে মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবীগনকে তাদের রবের পক্ষ থেকে। আমরা তাদের মধ্য থেকে কারও সাথে কারও প্রতি পার্থক্য করছি না করবো না । আর আমরা হলাম আল্লাহর জন্যই মুসলিম।
৩) ফেরাউনের জাদুকরেরা যে ভাবে ঈমানের ঘোষণা দিয়েছিল- (আ'রাফ- ৭ : ১২১, ১২২)
. قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ . رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ
উচ্চারণঃ ক্বলূ- আমান্না- বিরব্বিল আ'লামীন। রব্বি- মূ-সা- ওয়া হা-রূন । অর্থঃ তারা বললো, আমরা ঈমান এনেছি জগৎসমূহের রবের প্রতি । যিনি মুসা ও হারুনের রব।
8) সালামুন আ'লা ঈসার সঙ্গী হাওয়ারীরা যে বাবে ঈমানের ঘোষণা দিয়েছিল- (আল ইমরান- ৩: ৫২)
آمَنَّا بِاللَّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
উচ্চারণঃ আমান্না- বিল্লা-হি ওয়াশহাদ বিআন্নানা- মুসলিমূ-ন।
অর্থঃ আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি আর আপনি স্বাক্ষী থাকুন যে, নিশ্চয়ই আমরা মুসলিম ।
৫) মু'মিনরা যেভাবে আল্লাহ ও রসূলের প্রতি ঈমানের ঘোষণা দিবে- (সুরাতুন নূর- ২৪ : ৪৭)
آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا
উচ্চারণঃ আমান্না- বিল্লা-হি ওয়াবিসূ-লি ওয়া আত্ব’না-
অর্থঃ আমরা ঈমান আনলাম আল্লাহর প্রতি আর রসূল তথা রসূল সমষ্টির প্রতি এবং আমরা অনুসরন করলাম।
৬) ফেরাউনের জাদুকররা সাজদায় লুটিয়ে পড়ে যেভাবে ঈমানের ঘোষণা দিয়েছিল- (ত্বহা - ২০:৭০)
قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ هَارُونَ وَمُوسَى
উচ্চারণঃ ক্বল্- আমান্না- বিরব্বী হা-রূনা ওয়া মূ-সা- ।
অর্থঃ “তারা বললো”, আমরা হারুন ও মুসার রবের প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম।
৭) রহমানের প্রতি ঈমানের ঘোষণা- (মূলক- ৬৭ : ২৯)
قُلْ هُوَ الرَّحْمَنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণঃ কুল, হুয়ার্ রহমা-নু আমান্না বিহি ওয়া আ'লাইহি তাওয়াক্কালনা-
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, তিনিই একমাত্র রহমান তথা সর্ব দয়ালু, আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম এবং তাঁরই উপরে ভরসা করলাম।
৮) নিজে ঈমানের ঘোষণা দিয়ে জাতিকে ঈমানের দিকে আহ্বান করা- (ইয়াসীন- ৩৬: ২৫)
إنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
উচ্চারণঃ ইন্নী- আ-মানতু বিরব্বিকুম ফাসমাউ-ন ।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম। সুতরাং তোমরা আমার কাছ থেকে শুনে নাও ।
৯) আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন সালামুন আ'লা মুহাম্মদকে যেভাবে আল-কুরআনের প্রতি ঈমানের ঘোষণা দিতে আদেশ করেছেন- (শুরা- ৪২ : ১৫)
آمَنْتُ بِمَا أَنزَلَ اللهُ مِنْ كِتَابٍ
উচ্চারণঃ আ-মানতু বিমা- আনঝালাল্লা-হু মিন কিতা-বি ।
অর্থঃ আমি ঈমান আনয়ন করলাম উহার প্রতি যা আল্লাহ কিতাবে তথা কুরআনে অবতীর্ণ করেছেন।
১০) ঈমান আনার পরে কোন ভুল-ত্রুটি হলে পুনরায় ঈমানের ঘোষণা দিতে যা পাঠ করতে হবে- (আ'রাফ- ৭ : ১৪৩)
سُبْحَانَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ
উচ্চারণঃ সুবহা-নাকা তুবতু ইলাইকা ওয়াআনা- আউয়্যালুল মু'মিনীন।
অর্থঃ আপনি পুতঃপবিত্র আমি আপনারই কাছে ফিরে এলাম/তাওবা করলাম, আর আমিই মুমিনদের মধ্যে প্রথম।
১১) যারা আল্লাহ প্রদত্ত্ব জ্ঞানে পরিপক্ক তাঁরা আল্লাহ্র আয়াতের প্রতি মালা।
যেভাবে ঈমানের ঘোষণা দিয়েছিলঃ- (সূরা-আল-ইমরান- ৩:৭)
يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا
উচ্চারণঃ ইয়াকু-লূ-না আমান্না- বিহি কুলুম্ মিন্ ইনদি রব্বিনা-
অর্থঃ তারা বলে, আমরা উহা তথা আল-কুরআনের প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম । সমস্ত আয়াতই আমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে।
১২) আল কুরআনের আয়াত শ্রবনের পরে যেভাবে ঈমানের ঘোষণা দিতে হবে- (সূরা-আল-ক্বসাস- ২৮:৫৩)
قَالُوا آمَنَّا بِهِ إِنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّنَا إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلِهِ مُسْلِمِينَ
উচ্চারণঃ ক্বলূ- আমান্না- বিহি ইন্নাহুল হাকু মির্ রব্বিনা- ইন্না- কুন্না- মিন্ ক্ববলিহি মুসলিমী-ন।
অর্থঃ তারা বললো, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনয়ন করলাম উহা তথা আল-কুরআনের প্রতি, নিশ্চয়ই উহাই একমাত্র সত্য আমাদের রবের পক্ষ থেকে । নিশ্চয়ই আমরা এর পূর্বেও মুসলিম ছিলাম।
১৩) নাযিলকৃত কিতাবের প্রতি ঈমানের ঘোষণা - (আনকাবুত- ২৯ : ৪৬)
وَقُولُوا آمَنَّا بِالَّذِي أُنزِلَ إِلَيْنَا وَأَنزِلَ إِلَيْكُمْ وَإِنَّهُنَا وَإِلَهُكُمْ وَاحِدٌ وَنَحْنُ لَهُ
مُسْلِمُونَ
উচ্চারণঃ ওয়া কু-লূ- আ-মান্না বিল্লাঝী- উনঝিলা ইলাইনা- ওয়া উনঝিলা ইলাইকুম ওয়াইলা- হুনা-ওয়াইলা- হুকুম ওয়াহিদুন ওয়ানাহনু লাহু- মুসলিমূ-না ।
অর্থঃ “আর তোমরা বলো”, আমরা ঈমান আনয়ন করলাম উহার প্রতি যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে তার প্রতি। আর আমাদের ইলাহ্ আর তোমাদের ইলাহ্ তো একক ইলাহ্ । সুতরাং আমরা তারই জন্যে মুসলিম হলাম ।
১৪) নিপিড়ীত হবার পরেও মুমিনরা যেভাবে ঈমানের ঘোষণা দেয়- (মাইদা- ৫:৫৯)
آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلُ
উচ্চারণঃ আ-মান্না- বিল্লা-হি ওয়ামা- উনঝিলা ইলাইনা ওয়ামা- উনঝিলা মিন কবলু
অর্থঃ আমরা ঈমান আনয়ন করলাম আল্লাহর প্রতি এবং যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছিল।
ইসলামের ঘোষণাঃ
১) সালামুন আ'লা ইব্রাহিম যেভাবে ইসলামের ঘোষণা দিয়েছিলেন- (বাক্বারাহ্- ২ : ১৩১)
إذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ ইঝ ক্ব-লা লাহু- রব্বুহু আসলিম্, ক্ব-লা আসলামতু লিরব্বিল্ আ-লামীনা ।
অর্থঃ আলোচনা করে শিক্ষা গ্রহণ কর, যখন তার রব আল্লাহ্ তাঁকে তথা ইব্রাহিমকে বললেন, তুমি আত্মসমর্পণ কর- “মুসলিম হও”। সে বললো, জগৎসমূহের রবের জন্য আত্মসমর্পণ করলাম, অর্থাৎ মুসলিম হলাম।
2) সালামুন আ'লা মুহাম্মদ যেভাবে ইসলামের ঘোষণা দিতে আদিষ্ট ছিলেন:- আল-ইমরান- ৩:২০,
فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِيَ لِلَّهِ وَمَنِ اتَّبَعَنِ
উচ্চারণঃ ফাকুল আসলামতু অহিয়া লিল্লা-হি ওয়ামানি তাবাআ’নি।
অর্থঃ অতঃপর তুমি বলো হে নবী! আমি আমার চেহারা তথা অস্তিত্তসহ আল্লাহ্র জন্য আত্মসমর্পন করলাম তথা “মুসলিম হলাম”, এবং উহারাও যারা আমাকে অনুসরণ করেছে।
আনয়া’ম- ৬ : ১৪,
قُلْ إِنِّي أُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَ
উচ্চারণঃ কুল ইন্নী- উমিরতু আন আকূনা আওয়াল্যা মান আসলামা ।
অর্থঃ বলো হে নবী! নিশ্চয়ই আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি হবো যারা আত্মসমর্পন করেছে তথা মুসলিম হয়েছে তাদের মধ্যে প্রথম ।
ইউনুস- ১০ : ৭২,
وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
উচ্চারণঃ ওয়াউমিরতু আন্ আকূ-না মিনাল মুসলিমীন
অর্থঃ আর আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, আমিই হবো মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
ঝুমার- ৩৯ : ১২,
وَأُمِرْتُ لِأَنْ أَكُونَ أَوَّلَ الْمُسْلِمِينَ
উচ্চারণঃ ওয়াউমিরতু লিআন্ আকূ-না আওয়্যালাল মুসলিমী-ন।
অর্থঃ আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি যে, আমিই হবো মুসলিমদের মধ্যে প্রথম ।
৩) নবী তথা কুরআন ভিত্তিক নেতার সাথে ইসলামের ঘোষণা- নামল- ২৭: ৪8,
قَالَتْ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ ক্ব-লাত রব্বী- ইন্নী- জলামতু নাফসী- ওয়াআসলামতু মাআ সুলাইমা-না লিল্লা-হি রব্বিল আ'লামী-ন।
অর্থঃ সে তথা সাবার রমনী বললো, হে আমার রব নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি, আর আমি সুলায়মানের সাথে জগৎসমূহের রব আল্লাহ্র জন্য আত্মসমর্পণ করলাম তথা “মুসলিম হলাম”।
8) তাওবা করে মুসলিম হবার ঘোষণা- আহক্বাফ - ৪৬ : ১৫,
إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
উচ্চারণঃ ইন্নী- তুবতু ইলাইকা ওয়াইন্নী- মিনাল মুসলিমী-না ।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে তাওবা করলাম তথা ফিরে এলাম। আর নিশ্চয়ই আমি মুসলিমদের মধ্যে একজন।
১) কালিমাতুত্ তায়্যিবাহঃ আল্লাহ্ যেভাবে সালামুন আ'লা মুহাম্মদকে কালিমা শিক্ষা দিয়েছেন-
মুহাম্মদ- ৪৭ : ১৯,
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ
উচ্চারণঃ ফা-আ'লাম আন্নাহু লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু
অর্থঃ অতঃপর তুমি জানো, “নিশ্চয়ই তিনি হচ্ছেন এমন ইলাহ্” নেই কোন সত্য ইলাহ্ / সর্বআইনদাতা তিনি একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া,
2) এক ইলাহ্র ঘোষণা দিলে কাফিররা অহংকার প্রকাশ করে- ছফাত- ৩৭ ঃ ৩৫,
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
উচ্চারণঃ ইন্নাহুম্ কা-নু- ইযা- ক্বী-লা লাহুম্ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু” ইয়াসতাবিরূ-ন।
অর্থঃ নিশ্চয়ই তারা এমন লোক যে, যখন তাদেরকে বলা হতো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” অর্থাৎ নেই কোন সত্য ইলাহ্ তিনি একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া, তখন তরা অহংকার প্রকাশ করতো।
3) আল্লাহ্ যেভাবে তাঁর নিজের গুনবাচক নাম যুক্ত করে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ্ শিখিয়েছেন -
বাক্বারাহ্- ০২ : ২৫৫,
الله لا إلهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
উচ্চারণঃ আল্লাহু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হায়্যুল ক্বয়্যু-ম।
অর্থঃ আল্লাহ্ই হচ্ছেন একমাত্র সত্বা, নেই কোন সত্য ইলাহ্ তিনি আল্লাহ্ ছাড়া, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।
বাক্বারাহ্- ০২ : ১৬৩,
لَّا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়ার্ র্যা-নুর্ রহীম।
অর্থঃ নেই কোন সত্য ইলাহ্ তিনি ‘আল্লাহ্' ছাড়া তিনি “রহমানুর রহীম” সার্বিকভাবে দয়ালু বিশেষভাবে অনুগ্রহপরায়ন ।
আল ইমরান- ০৩ ঃ ০২,
اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল্ হায়্যুল ক্বয়্যূ-ম।
অর্থঃ ‘আল্লাহ্’ হচ্ছেন- এমন সত্বা যিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ্ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।
আল ইমরান- ০৩:০৬
لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল্ আ’ঝী-ঝুল্ হাকীম ।
অর্থঃ নেই কোন সত্য ইলাহ্ তিনি আল্লাহ্ ছাড়া যিনি মহাপরাক্রমশালী, সর্ব মহা বিচারক/সর্ব আইনদাতা ।
কালিমাতুশ্ শাহাদাহ্ঃ
১) আল্ ইমরান- ০৩ : ১৮,
شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ
إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
উচ্চারণঃ শাহিদাল্লা-হু আন্নাহু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া ওয়ামালা-ইকাতু ওয়াউ-লু-ল্ ই'লমি ক্ব-ইমাম্ বিকিসতি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল্ আ’ঝী-ঝুল্ হাকী-ম ।
অর্থঃ আল্লাহ্ স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া নেই কোন সত্য ইলাহ্ । আর মালাইকা এবং কুরআন ভিত্তিক জ্ঞানে যারা পরিপূর্ণ এবং যারা সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠাকারী তারাও সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, নেই কোন সত্য ইলাহ্ তিনি আল্লাহ্ ছাড়া, যিনি মহাপরাক্রমশালী, সর্বমহাবিচারক / সর্বআইনদাতা ।
২) আল ইমরান- ০৩ ঃ ৫৩,
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
উচ্চারণঃ রব্বানা- আ-মান্না- বিমা- আনঝালতা ওত্তাবা নার্ রসূ-লা ফাকতুবনা- মাআশ শা-হিদী-ন।
অর্থঃ হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি উহার প্রতি যা আপনি অবতীর্ণ করেছেন এবং আমরা রসূল তথা রসূলসমষ্টির অনুসরণ করলাম, সুতরাং আপনি আমাদেরকে স্বাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিপিবদ্ধ করুণ।
মায়িদাহ্- ০৫ ঃ ৮৩,
رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
উচ্চারণঃ রব্বানা- আ-মান্না- ফাকতুবনা- মাআশ্ শা-হিদী-ন।
অর্থঃ হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনলাম সুতরাং আপনি আমাদেরকে স্বাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিপিবদ্ধ করুণ।
৪) সালামুন আ'লা হৃদ যেভাবে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন- আল হৃদ- ১১ : ৫৪,
قَالَ إِنِّي أُشْهِدُ اللهَ وَاشْهَدُوا أَنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ
উচ্চারণঃ ক্ব-লা ইন্নী- উশহিদুল্লা-হা ওয়াশহাদ - আন্নী- বারী-উম্ মিম্মা- তুশরিকূ-ন।
অর্থঃ আর সে বললো, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহকে স্বাক্ষী হিসাবে নির্ধারণ করছি-করবো। আর তোমরাও স্বাক্ষী থাকো যে, নিশ্চয়ই আমি সম্পূর্ণ মুক্ত ঐ সকল বিষয় থেকে যে বিষয়ে তোমরা শিরক্ করছো ।
৫) সালামুন আ'লা মুহাম্মদ যেভাবে স্বাক্ষী দিয়েছেন- আনয়া’ম- ০৬ : ১৯,
قلِ اللَّهُ شَهِيدٌ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ
উচ্চারণঃ কুলিল্লা-হু শাহীদুম্ বাইনী- ওয়াবাইনাকুম ।
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, আল্লাহ্ আমার ও তোমাদের মাঝে একমাত্র স্বাক্ষী।
৬) রাদ- ১৩ : ৪৩,
قُلْ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِندَهُ عِلْمُ الْكِتَاب
উচ্চারণঃ কুল কাফা- বিল্লা-হি শাহীদাম্ বাইনী- ওয়াবাইনাকুম ওয়ামান্ ইনদাহু ইলমুল কিতা-ব ।
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, স্বাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই আমার ও তোমাদের মাঝে যথেষ্ট। আর ঐ ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট যার কাছে রয়েছে বিধানে পূর্ণ কিতাব তথা কুরআনের জ্ঞান।
৭) আল-কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ্ যেভাবে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন- নিসা- ৪ : ১৬৬,
اللهُ يَشْهَدُ بمَا أَنزَلَ إِلَيْكَ أَنزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ وَكَفَى بِاللَّهِ
شَهِيدًا
উচ্চারণঃ আল্লা-হু ইয়াশহাদু বিমা- আনঝালা ইলাইকা আনঝালাহু বিইলমিহি ওয়ামালা-ইকাতু ইয়াশহাদু-না ওয়াকাফা- বিল্লা-হি শাহী-দা-।
অর্থঃ আল্লাহ্ স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন, উহার প্রতি যা তিনি অবতীর্ণ করেছেন তোমার প্রতি আর তিনিই উহা অবতীর্ণ করেছেন তাঁর নিজ জ্ঞান দ্বারা এবং মালাইকাও স্বাক্ষ্য দিচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহই স্বাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট ।
৮) ঈসা- ১৭ : ৯৬,
قُلْ كَفَى بِاللهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا
উচ্চারণঃ কুল কাফা- বিল্লা-হি শাহী-দাম্ বাইনী- ওয়াবাইনাকুম ইন্নাহু- কানা বিই'বা-দিহী- খবী-রম্ বাছী-রা-।
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, আল্লাহ্ই আমার এবং তোমাদের মাঝে স্বাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সর্ব বিষয়ে খবর রাখেন, সবকিছু দেখেন।
৯) আনকাবুত- ২৯ ঃ ৫২,
قُلْ كَفَى بِاللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ شَهِيدًا يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
উচ্চারণঃ কুল কাফা- বিল্লা-হি বাইনী- ওয়াবাইনাকুম শাহী-দান্ ইয়া'লামু মা- ফী-স্ সামা-ওয়াতি ওয়াল্ আরদ্ধি।
অর্থঃ হে নবী! তুমি বলো, আল্লাহ্ আমার এবং তোমাদের মাঝে স্বাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট । তিনিই জানেন, যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং জমিনসমূহে।
এসা বিডি ডটকম এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url